শিরোনাম: |
প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বিড়ি শ্রমিকদের সংবাদ সম্মেলন
|
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে গণমুখী ও বাস্তবভিত্তিক আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। রবিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিড়ির অগ্রিম ১০% আয়কর প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবি তুলে ধরেন। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি এর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানী দেশীয় টোব্যাকো কোম্পানীর মার্কেট শোষণ করছে। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট ভোক্তা ৭৫ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্নস্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের মূল্য ৪৫ টাকা থেকে মাত্র ৫ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা খুবই সামান্য। সম্পূরক শুল্ক মাত্র ২ শতাংশ বাড়িয়ে ৫৮ থেকে ৬০ শতাংশ করা হয়েছে। দেশের দেড়শতাধিক এমপির সুপাশির অনুযায়ি নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্যস্তর ৪৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৮ থেকে ৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলে নিম্নস্তরের সিগারেট থেকে প্রতি বছর অতিরিক্ত ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হতো। যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর ঋণ পরিশোধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করতো। ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন, বিড়ি শিল্প দেশের প্রাচীন শ্রমঘন একটি শিল্প। বর্তমানে সারাদেশের প্রায় ২০ লক্ষ হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলাঙ্গ শ্রমিক বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই শ্রমঘন শিল্পটি শুল্ক মুক্ত ঘোষণা করেছিলেন। এছাড়া সিগারেট ও বিড়ি একই গোত্রভূক্ত হওয়া সত্ত্বেও দুটোর মাঝে বৈষম্য বিরাজ করছে এবং বিড়িকে অসম প্রতিযোগীতায় বাধ্য করা হচ্ছে। বিড়িতে অগ্রীম আয়কর ১০ শতাংশ আর সিগারেটে ৩ শতাংশ। আইনের এই বৈষম্যসমূহ দূর করে বিড়ির অগ্রিম ১০% আয়কর প্রত্যাহার করার অনুরোধ করছি। একই সাথে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করে ভারতের ন্যায় এই শিল্পটিকে কুটির শিল্প ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব না করাসহ চাল, গম, আলু, মসুর, পেঁয়াজ, রসুন, সব ধরনের ফলসহ ৩০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এবং শিশুখাদ্যে কর প্রত্যাহার করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান শ্রমিকরা। এছাড়াও শ্রমিকদের দাবি গুলো হলো বিড়ির অগ্রিম ১০% আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি, বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প ঘোষণা করা এবং বহুজাতিক কোম্পানীর নিম্নস্তরের ১০ শলাকার প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা বৃদ্ধি করার জোর দাবি জানান তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, লুৎফর রহমান, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসনাত লাভলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম প্রমূখ।
|