শিরোনাম: |
চাঁদাবাজির মামলা: জবি ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে তদন্তে সিআইডি
জবি প্রতিনিধি:
|
চাঁদাবাজি ও পিস্তল ঠেকিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ফোন-টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার পুনরায় তদন্ত করছে সিআইডি। আগামী ২২শে জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ (রবিবার) মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী জহির কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৩ই জুন মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সিআইডি থেকে প্রতিবেদন দাখিল না করায় আগামী ২২শে জুলাই দিন ধার্য করেন আদালত। এর আগে ওয়ারী থানা পুলিশ তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দিয়ে পুনরায় তদন্ত করার আবেদন করেন বাদী। সিআইডিকে পুনরায় মামলাটির তদন্ত করতে নির্দেশ দেন আদালত। গত বছরের ১৫ই মার্চ মশিউর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। মশিউর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ মামলার অন্য ৪ জন আসামি হলেন- ফরহাদ ব্যাপারী, আরশাদ আকাশ, রাসেল চাকলাদার ও টুটুল আহম্মেদ। মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ২৫শে আগস্ট আসামি ফরহাদ ব্যাপারী ভুক্তভোগী মশিউর রহমানের কাছে থেকে ব্যবসার কথা বলে ৪ লাখ টাকা ধার নেয় এবং ব্যবসায় লাভ হলে লভ্যাংশ দেবে বলে জানায়। কিছুদিন পর ফরহাদের থেকে মশিউর টাকা চাইলে জানায়, ব্যবসায় লোকসান হয়েছে এবং শিগগিরই তিনি টাকা ফেরত দেবেন। এরপর গত ৫ অক্টোবর পাওনা টাকা চাইলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। এরপর আসামি জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি এই সমস্যা সমাধান করে দেবে বলে জানায় এবং ভুক্তভোগী মশিউরকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। গত ১৮ই নভেম্বর ফরাজির কথামতো ঠিকানায় গেলে তাকে রুমের ভেতর নিয়ে গিয়ে চড়থাপ্পড় মারতে থাকে। এরপর আসামি আরশাদ আকাশ পুলিশ পরিচয় দিয়ে মশিউরকে পিস্তল ঠেকিয়ে একটি আইফোন এবং এগারো হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। মশিউরের হাতে পিস্তল দিয়ে ছবি তুলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেবে বলে হুমকি দেয়া হয়। পরে তার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে আরো দুই লাখ টাকা দাবি করে চক্রটি। এসব বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে মিথ্যা মামলা দিয়ে মশিউরকে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। ২৬শে নভেম্বর মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল আনতে গেলে ৫ লাখ সাড়ে ১২ হাজার টাকা রেখে তা ফেরত দেয়া হয়। |