শিরোনাম: |
আগামীকাল (৯ জুলাই) মশিউর রহমান যাদু মিয়ার জন্মশতবার্ষিকী
|
আগামীকাল ০৯ জুলাই, ২০২৪ ন্যাপ'র সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক সিনিয়র মন্ত্রী, জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার জন্মশতবার্ষিকী। বহুমাত্রিক প্রতিভার এই মানুষ ১৯২৪ সালের ৯ জুলাই তৎকালীন রংপুর জেলা আজকের নীলফামারী জেলার ডিমলার খগাখড়িবাড়ীর সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ওসমান গনি ও মা আবিউননেছা। ১৯৭৯ সালের ১২ মার্চ জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে যাদু মিয়া ইন্তেকাল করেন। ৪০-শেষের দিকে তিনি ইয়াং ম্যান অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তানের পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান ছিলেন। তিনি ৫০ দশকের শেষ দিকে রংপুর জেলা বোর্ডের কনিষ্ঠতম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ৬০-এর দশকের শেষের দিকে মশিউর রহমান যাদু মিয়া ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ও আইয়ুব বিরোধী ১১ দফা আন্দোলনে তিনি জাতীয় পরিষদের ভেতরে ও বাইরে সোচ্চার দাবি উপস্থাপন করেন এবং আন্দোলনের পে মওলানা ভাসানীর আহ্বানে জাতীয় পরিষদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৬৯ সালে লায়েলপুরে কৃষক সম্মেলনে ইয়াহিয়া খানকে গাদ্দার বলার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৭৭ সালে প্রগতিশীল, দেশপ্রেমিক ও জাতীয়তাবাদী শক্তির সমন্বয়ে প্রথমে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট ও পরে জাতীয়তাবাদী দল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন। মওলানা ভাসানীর মৃত্যুর পর ন্যাপের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদায় সিনিয়র মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ক্রান্তিকালে যাদু মিয়ার মতো সাহসী নেতৃত্বের প্রয়োজন : বাংলাদেশ ন্যাপ জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতার প্রশ্নে যাদু মিয়ার রাজনৈতিক জীবন মানুষকে চিরদিন অনুপ্রাণিত করবে। দেশের চলমান ক্রান্তিকালে তার মতো মেধাবী ও সাহসী নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা জাতি উপলব্ধি করছে। তারা বলেন, আজ নতুন আন্দোলনের সূচনা করতে হবে, রাজনীতির নিয়ন্ত্রন রাজনীতিদিদের হাতে ফিরিয়ে আনতে হবে। দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন মুক্ত রাজনীতি ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, মশিউর রহমান যাদু মিয়া সারাহীবন গণতন্ত্র আর জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করেছেন। দেশকে সামরিক শাস থেকে গণতান্ত্রিক পক্রিয়ায় নিয়ে আশার জন্য তিনি যে বিএনপি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। দু:খজনক হলেও সত্য সে দল আজ আর তা স্মরণ করে না। প্রতিষ্ঠাতাদের মুছে ফেলেছে দলটি। আর যারা তার প্রতিষ্ঠাদের মনে করে না না, শ্রদ্ধা করে না, স্মরণ করে না তাদেরকে ইতিহাসও ক্ষমা করবে না। তারা বলেন, দেশের রাজনীতি যখন পথহারা, রাজনীতির যখন নিয়ন্ত্রন রাজনীতিবিদদের হাতে নেই , রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ যখন এক অদৃশ্য শক্তির হাতে নিয়ন্ত্রিত হয় তখন যাদু মিয়াকে স্মরণ করতে হয় বার বার। আজ রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে অদৃশ্য সিন্ডিকেট। এই দন্ডমুন্ডের কর্তারাই এখন সব ঠিক করে দেয়। তারা অনেকটা ঈশ্বরের মতনই, তারা সর্বত্র বিরাজমান। ফলে রাজনীতি ক্রমান্বয়ে জনগনের আস্থা হারাচ্ছে।
|