সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ২৯ আশ্বিন ১৪৩১
শিরোনাম: পাবনায় ট্রেজারি ভবন নির্মাণ: ব্যয় প্রস্তাব হয়েছে রেট শিডিউলের দ্বিগুণের বেশি       ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একমাত্র মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান       যে ভিসায় ভারতে থাকার অনুমতি পেয়েছেন শেখ হাসিনা       সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে পূজার পর সাঁড়াশি অভিযান : আইজিপি       পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সাথে ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা       শেখ হাসিনার নামে মামলা করলেন মাহমুদুর রহমান       বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে শহীদ জেহাদ এক চিরস্মরণীয় নাম : মির্জা ফখরুল      
কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত কেবিন!
প্রকাশ: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:১৪ এএম |

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত দুটি কেবিন প্রায় ২১ মাস ধরে পড়ে আছে। তবে কোন প্রধানমন্ত্রী তা কেবিনে উল্লেখ নেই। মাসের পর মাস দুটি কেবিন কক্ষ বন্ধ থাকায় সাধারণ রোগীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

কেবিন দুটির অবস্থান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চতুর্থ তলার দক্ষিণ পাশে। রোগী ও রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও কেবিন দুটি আগের মতোই বন্ধ রয়েছে। এখন পর্যন্ত কক্ষ দুটি খুলে দিয়ে রোগীদের সেবার মান বাড়াতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চতুর্থ তলার দক্ষিণ পাশে দুটি কেবিন কক্ষের সামনে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত কেবিন’ লেখা দেখতে পাওয়া যায়। এলাকাবাসীর ধারণা, এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য নির্ধারিত কেবিন। তবে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র উদ্বোধনের পরে শেখ হাসিনা একাধিকবার কোটালীপাড়া উপজেলায় এসেছেন। কিন্তু এই উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নির্ধারিত কেবিনে স্বাস্থ্যসেবা বা বিশ্রাম নিতে তিনি কখনোই আসেনি। তবে কেন তার জন্য এই নির্ধারিত কেবিন-এমন প্রশ্ন এখন সাধারণ রোগীদের।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে বাস্তবায়িত ১০০ শয্যাবিশিষ্ট কোটালীপাড়া উপজেলা কমপ্লেক্সের নতুন ভবনটি ২০২৩ সালের ৭ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের দিন থেকেই প্রধানমন্ত্রীর জন্য দুটি কেবিন কক্ষ নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। 


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা কাজুলিয়া গ্রামের মো. মামুন বলেন, সাবেক বা বর্তমান কোনো প্রধানমন্ত্রীই স্বাস্থ্যসেবা নিতে এখানে কখনোই আসবেন না। তাই এভাবে দুটি কেবিন কক্ষ নির্ধারণ করে রাখাটা মোটেই ঠিক হয়নি। আমরা একটি নির্ধারিত ফি দিয়ে কেবিনে থাকি। সে ক্ষেত্রে দুটি কেবিন কক্ষ এভাবে বন্ধ থাকায় সরকার হাজার হাজার টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কেবিন কক্ষ দুটি খুলে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি। 

এ বিষয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মৃদুল কুমার দাস বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের বিধান মতে দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর এলাকায় প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দে তাদের জন্য এ ধরনের কেবিন নির্ধারণ করে রাখা হয়। সে অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে আমাদের এখানে দুটি কেবিন কক্ষ নির্ধারণ করে রাখা হয়েছিল। যেহেতু তিনি এখন প্রধানমন্ত্রী নেই সেক্ষেত্রে উপজেলা স্বাস্থ্যসেবার আগামী সভায় বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।






আরও খবর


সম্পাদক : এ এইচ এম তারেক চৌধুরী, সহ-সম্পাদক: এম এ ওয়াহেদ- ০১৮৫৯-৫০৬৬১৪
প্রধান কার্যালয় : নাহার ম্যানশন ৫ম তলা, ১৫০ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা -১০০০।
নিউজ রুম: ০২৪৭১১০৪৫৪, ০১৬৭৭২১৯৮৮০।
e-mail: [email protected], web: 71sangbad.com