শিরোনাম: |
শিক্ষাব্যবস্থায় হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করা হবে না : মামুনুল হক
|
শিক্ষাব্যবস্থায় হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষা কমিশন থেকে নাস্তিক, মুরতাদ ও সমকামীদের সরাতে হবে। অবিলম্বে শিক্ষা কমিশনে ইসলামী শিক্ষাবিদ ও আলেমদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা খেলাফত মজলিস এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মামুনুল হক বলেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে অন্য একটি দেশের অঙ্গ রাজ্যে পরিণত করতে চেয়েছিল। শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল বাংলাদেশকে ধংস করার রাজনীতি। এদেশে সম্পদ লুট করে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে, যেন বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অধিকার ছিনতাই করেছে। এদেশের মানুষের ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক অধিকার ছিনতাই করা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা স্বাধীনতার অঙ্গীকার ভঙ্গ করে সমকামিতাসহ আইন, ধারা, উপধারা আমার দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল।’ মামুনুল হক বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে উৎখাত করেছি নতুন কোনো ইসলামবিদ্বেষী শক্তিকে বাংলার মসনদে দেখবার জন্য নয়। ডক্টর ইউনূস সাহেবের সরকারকে আমরা এখন পর্যন্ত সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আগামী দিনেও এই সহযোগিতা করে যাওয়ার ইচ্ছা আমাদের আছে। কিন্তু সেই ইচ্ছা সরকারেরও থাকতে হবে। সরকারকে বুঝতে হবে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ছাড়া সরকার পরিচালনা করা সম্ভব নয়। দেশের প্রশ্নে ইসলামের প্রশ্নে মানবতার প্রশ্নে আমরা কারো সাথে আপস করতে প্রস্তুত না। যদি হিন্দুত্ববাদী এবং ইসলামবিরোধী কোনো অ্যাজেন্ডা পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়, সেটাকেও আমরা রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত। হিন্দুত্ববাদী শিক্ষাব্যবস্থাকে উৎখাত করার জন্য আমরা সংগ্রাম করে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ রাসূল সা:-এর নামে জঘন্য কটূক্তি এবং বিজেপির সাংসদ নিতেশ নারায়ণ রানে তাকে সমর্থন করার ঘটনায় বিশ্বের সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ নবিপ্রেমিক মুসলমানদের অন্তরে আগুন জালিয়ে দিয়েছে। এই কটূক্তির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমরা খুঁজে পাচ্ছি না।’ তিনি প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে প্রতিবাদ করুন। বিশ্ব মানবতার দূত হযরত মোহাম্মদ সা:-কে যারা গালি দেবে, কটূক্তি করবে তাদেরকে ইলিশ দেবেন- তা মেনে নেয়া হবে না।’ সমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার পর ডক্টর ইউনূসের সরকার। আমরা লক্ষণ কিন্তু ভালো দেখতেছি না। ঠান্ডা মাথায় আমরা কথা বলছি, আমাদের ভাষা বুঝবার চেষ্টা করেন। সমকামিতা ও অসভ্যতার নোংরামি এই বাংলাদেশে বরদাস্ত করা হবে না। বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণের নামে খবরদারি করার চেষ্টা করলে আমরা কারবালা তৈরি করব। প্রয়োজনে আবার রক্ত দেবো, আবার শহীদ হবো।’ সমাবেশে বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ইসলামপুর মাদরাসার মুহতামিম মুফতী মাহমুদুল হক আযীযীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব জালাল উদ্দিন আহমদ, আতাউল্লাহ আমীন প্রমুখ।
|