শিরোনাম: |
অনিয়ম-দুর্নীতিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প
|
পিরোজপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকার খালে, নিহত ৮ গরিবদের ইলিশ খাওয়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিরীহ হোমিও চিকিৎসক কারাগারে, পরিবারের দাবি ‘ষড়যন্ত্র’ বিয়ের আশ্বাসে ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এনজিও অফিসে দিনদুপুরে পিস্তল ঠেকিয়ে চাঁদাবাজি সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ’ কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। সরকারের সাড়ে ১২ একর খাস জমির ওপর সাড়ে ৪শ কোটি টাকার এই প্রকল্পে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি প্রকল্প পরিচালক ও পিডব্লিউডির মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। ফলে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কাজ শুরু হলেও তিন বছরে নির্মাণকাজ হয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। অভিযোগ উঠেছে, স্পোর্টস কমপ্লেক্স ফর পিপল উইথ স্পেশাল নিডস-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক উপসচিব (ডিএস) আবদুলাহ আল মামুন প্রকল্প নিয়ে উদাসীন। এ কারণে কাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও উঠেছে। বিশেষ করে পিডব্লিউডিও পুরোপুরি দায়ী করছে প্রকল্প পরিচালককে। সংস্থাটির মতে, জমি অধিগ্রহণ, সীমানা নির্ধারণ নিয়ে প্রকল্প পরিচালক আল মামুন কোনো কাজ করছেন না বিধায় প্রকল্প আলোর মুখ দেখবে কিনা সন্দেহ দেখা দিয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সুপারিশে আব্দুলাহ আল মামুনকে এই প্রকল্পে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পের জন্য একটি গাড়ি কেনা হলেও তিনি গাড়ি ভাড়ার নামে মাসে মাসে দুই লাখ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন। প্রকল্পের ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল অংশ শুরু হওয়ার আগেই অবৈধভাবে তিনি তার আপন ভাই মো. আব্দুলাহ আল নুরুল আহাদ তালুকদারকে প্রকৌশলী সেবা পদে এই প্রকল্পে নিয়োগ দিয়েছেন। তার মেয়াদ ছিল ৫ মার্চ ২০২৩ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত। অথচ তিনি এখনো বহাল থেকে বেতনসহ সব সুবিধা ভোগ করছেন। এছাড়া তিনি স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তার শ্যালক হাসিবুর রহমানকে নিয়মবহিভর্‚তভাবে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি বেতন ভাতাসহ সব সুবিধা ভোগ করলেও নিয়মিত অফিসে অনুপস্থিত থাকেন। আল মামুন ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ১০ লাখ ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যার প্রমাণ ও ভাউচার এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ আল মামুন যুগান্তরকে বলেন, প্রকল্পের কাজে আমি আর যাই না। পিডব্লিউডি তাদের নিজেদের মনগড়াভাবে কাজ চালাচ্ছে। তিনি বলেন, তারা আমার নির্দেশনা ছাড়াই প্রকল্প চালাচ্ছে। তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে তিনি ফোনে কিছু বলতে চাননি। এছাড়া বেশকিছু অভিযোগ তিনি অস্বীকার করে সব দায় পিডব্লিউডির ওপর চাপিয়ে দেন। এ ব্যাপারে প্রকল্পের গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার আল আহসান আতিক মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, এই প্রকল্পের কাজের অনগ্রগতির পেছনে পিডি আব্দুলাহ আল মামুনই দায়ী। তিনি প্রকল্পের জমি হস্তান্তর, সীমানা নির্ধারণ ও প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে চরম উদাসীনতা দেখাচ্ছেন। সীমানা নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই কাজ পিডি আল মামুনকেই লিয়াজোঁ করে দিতে হবে অথচ তিনি প্রকল্পর কোনো কাজই করছেন না।
|