শিরোনাম: |
মৎস্য কর্মকর্তাকে বেঁধে রাখার হুমকি বিএনপি নেতার
|
মো. হারুন খান নামে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে বেঁধে রাখার হুমকি দেওয়া ও গালমন্দ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম (চলতি দায়িত্ব)। শনিবার শেষ বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেদিরহাটে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানের পর এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মো. হারুন খান উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম রোববার সকালে যুগান্তরকে জানান, ঘটনার দিন শনিবার (১৯ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি তার দপ্তরের লোকজন ও পুলিশ নিয়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেদিরহাটে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে যান। অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে স্থানীয় রমিজ নামে একজন লোকজন নিয়ে উপস্থিত হয়ে মৎস্য কর্মকর্তাসহ তার সঙ্গে থাকা পুলিশ এবং অন্যান্যদের গালমন্দ ও তাদের ওপর হামলার প্রস্তুতি নেন। ওই সময় তাদের লক্ষ্য করে গাছের গুঁড়ি ছোড়া হলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনার কিছুক্ষণ উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হারুন খান মৎস্য কর্মকর্তাকে ফোন করেন। কর্মকর্তাকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করাসহ নানা অপবাদ দিয়ে গালমন্দ এবং চোর আখ্যা দিয়ে বেঁধে রাখার হুমকি দেন। ওই মৎস্য কর্মকর্তা বিষয়টি ওসি, ইউএনও ও বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছেন বলে যুগান্তরের কাছে নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগের বিষয় বিএনপি নেতা মো. হারুন খান বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। মৎস্য কর্মকর্তার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। মা-ইলিশের রক্ষা নিয়ে বিএনপি নেতাদের যাতে বদনাম না হয় সেজন্য মৎস্য কর্মকর্তাকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানিয়েছি। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল আলীম তালুকদার বলেন, বিষয়টি তার কাছে (হারুন খান) জানতে চাওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দশমিনা থানার ওসি মো. আবদুল আলীম বলেন, বিষয়টি মৎস্য কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন। কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে
|