শিরোনাম: |
পিকইজির মাধ্যমে ডিজিটাল সল্যুশনে বিপ্লব এনেছেন গ্যালাক্সীর সিইও আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল
|
গ্যালাক্সি গ্লোবাল আইটি’র প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল তার সর্বশেষ প্রকল্প পিকইজি নিয়ে ডিজিটাল সল্যুশনের জগতে নতুন মাত্রা যোগ করছেন। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রকল্পটি একটি উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম, যা ব্যক্তি এবং বড় প্রতিষ্ঠান উভয়ের জন্য সৃজনশীল প্রক্রিয়া পুনর্গঠনে সক্ষম। তথ্য প্রযুক্তিতে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে গড়ে ওঠা ফয়সালের এই ভিশন পিকইজি’র মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যবসা ও সৃজনশীল ব্যক্তিদের ক্ষমতায়নে কাজ করবে। গ্যালাক্সি গ্লোবাল আইটি ফয়সালের প্রথম সফল উদ্যোগ, যা তিনি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। তবে তার প্রযুক্তিগত জগতে পথচলা শুরু হয়েছিল আরও আগে। যশোরে জন্মগ্রহণ করা ফয়সাল ২০১০ সালে ঢাকায় তার বাবার প্রতিষ্ঠিত আইটি ব্যবসাটি পুনরায় চালু করেন। এরপর থেকে তিনি গ্যালাক্সি গ্লোবাল আইটি-কে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে গ্লোবাল ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এই অভিজ্ঞতা থেকে ২০১৭ সালে তিনি চালু করেন ওয়ার্ল্ড মার্ট, যা বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে আধুনিকতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। ফয়সালের এই নতুন প্রকল্প পিকইজি ২০২৫ সালে বাজারে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। এটি ডিজিটাল স্বাধীনতা এবং সৃজনশীলতায় উৎসাহ দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েশন এবং ইমেজ এডিটিং টুলসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে গঠিত এই প্ল্যাটফর্মটি সহজেই ব্যবহারযোগ্য। পিকইজি মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং সৃজনশীল ব্যক্তিদের জন্য উচ্চমানের ডিজিটাল ডিজাইন রিসোর্স, সহজ ইন্টারফেস এবং বিভিন্ন ধরনের ফিচার সরবরাহ করবে। আসন্ন জানুয়ারি ২০২৫-এ যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে কনজিউমার টেকনোলজি অ্যাসোসিয়েশনের (CES) ইভেন্টে পিকইজি প্রেজেন্ট করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফয়সাল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি ২০২৬ সালের মধ্যে ২ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছেন, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেবে। ফয়সালের এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে তার টিম এবং শিল্প নেতৃবৃন্দের অমূল্য সহযোগিতা বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। ভবিষ্যতে, আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল তার উদ্ভাবনী প্রকল্প এবং কমিউনিটি ইমপ্যাক্টের প্রতি অঙ্গীকার বজায় রেখে চলবেন। পিকইজি’র মাধ্যমে তিনি শুধু ডিজিটাল সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে চান না, বরং বাংলাদেশকে গ্লোবাল টেকনোলজির এক নতুন কেন্দ্রে পরিণত করতে চান। |