শিরোনাম: |
বিএনপির ৭ আইনজীবীকে অব্যাহতি আবেদনকারীকে জরিমানা
|
আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবী। রবিবার মামলাটি (আদালত অবমাননার আবেদন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে আদেশের জন্য ছিল। কিন্তু অভিযোগকারী বা অভিযোগকারীর কোনো আইনজীবী না থাকায় মামলাটির অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মামলাটি না চালানোর সিদ্ধান্ত জানান। তখন আদালত আবেদনটি খারিজ করে দেন। আদেশে বলা হয়, আবেদনটি (মামলাটি) উত্থাপন না করায় তা খারিজ করা হলো।’ এর ফলে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান এসব আইনজীবী। তবে মামলার খরচ হিসেবে আবেদনকারীকে এক লাখ টাকা পরিশোধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে এই টাকা ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ জমা দিতে মামলার বাদীকে (আবেদনকারীকে) নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। আদালতে সাত আইনজীবীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক। অব্যাহতি পাওয়া সাত আইনজীবী হলেন- বিএনপির আইন সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কায়সার কামাল, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল জামিল মোহাম্মদ আলী ওরফে এ জে মোহাম্মদ আলী (প্রয়াত), আইনজীবী ফাহিমা নাসরিন, মো. আব্দুল জব্বার ভুঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও গাজী কামরুল ইসলাম সজল। গত বছরের ১৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে বিচারকদের ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। ওই অনুষ্ঠানেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের দৌড়ঝাঁপ, হস্তক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করেন আপিল বিভাগের আরেক বিচারপতি। এর পর থেকে এ দুই বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করে নানা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ২৭ আগস্ট বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলন থেকে আপিল বিভাগের দুই বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে সরাতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল বলেন, ‘আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতি যেহেতু শপথ ভঙ্গের মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার আইনি ও নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন, তাই তাদের বিচারিক কাজ থেকে বিরত রাখতে মাননীয় প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। এরপর ওই বছরের ২৮ আগস্ট আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নাজমুল হুদা। সে সময় আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন নাহিদ সুলতানা যূথী। একপর্যায়ে আদালত অবমাননার অভিযোগ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সাত আইনজীবীকে তলব করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। পরবর্তী অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন বিএনপির সাত আইনজীবী। এরপর বিভিন্ন তারিখে শুনানি হয়। |