শনিবার ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
শিরোনাম: সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল ওপেন গ্রুপ এ       রয়্যাল জর্ডানিয়ান এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু, সায়মন পেল জিএসএ       আইনি প্রক্রিয়ার বাইরেও আছে রাজনৈতিক সমীকরণ       আধিপত্য কায়েম করতে সাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়া তুলছে ভারত : রিজভী       আওয়ামী দূষিত লোকদের প্রশাসন থেকে বিতাড়িত করা সরকারের দায়িত্ব : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান       সরকারকে ব্যর্থ করতে সব ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে : মোশাররফ হোসেন       বিভাগ না দিয়ে হাসিনা কুমিল্লাবাসীকে অপমানিত করেছেন : জামায়াত আমির      
বাংলাদেশকে আল্টিমেটাম দিল আদানি
প্রকাশ: রোববার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:৫০ পিএম |

বকেয়া পরিশোধ না করা হলে ৭ নভেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে আদানি পাওয়ার। 
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩১ অক্টোবর বকেয়া পরিশোধের নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র খোলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে উল্লেখিত শর্ত পূরণ করেনি বিপিডিবি।

এর আগে, বকেয়া পরিশোধে বিলম্বের কারণে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড গত ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, ডলার সংকটের কারণে সময়মতো অর্থ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ।

সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গড্ডা প্ল্যান্ট বাংলাদেশের জন্য প্রতি ইউনিট ১০–১২ টাকা (ভারতীয় রুপি ৭–৮.৫০) হারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এই মূল্য ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা কয়লার দামের সঙ্গে ওঠানামা করে।

আদানি পাওয়ার সরাসরি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে সংস্থার সিনিয়র এক্সিকিউটিভরা এর আগে জানিয়েছেন, তাঁরা সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী। সময়মতো অর্থ প্রদানে বিলম্ব এবং এর স্পষ্ট সমাধানের অভাব তাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে। কারণ তাদের নিজেদের ঋণদাতাদের পাওনা পরিশোধ করতে হবে।

এদিকে বাংলাদেশে সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত গড্ডা প্ল্যান্টের বাণিজ্যিক স্থিতিশীলতাকেও প্রভাবিত করবে। কারণ বাংলাদেশই তাদের একমাত্র বিদ্যুৎ ক্রেতা। এরই মধ্যে আদানি পাওয়ার তাদের দুটি ৮০০ মেগাওয়াট ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিট বন্ধ রাখছে। যেখান থেকে প্রতি মাসে ৯–১০ কোটি ডলারের বিল হিসাবে বার্ষিক আয় প্রায় ১১০ কোটি ডলার।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই আদানি ভারতে অভ্যন্তরীণ বাজারে বিদ্যুৎ সরবরাহের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে শুরু করে। এর জন্য ভারত সরকারও এরই মধ্যে নীতিমালা পরিবর্তন করেছে।






আরও খবর


সম্পাদক : এ এইচ এম তারেক চৌধুরী, সহ-সম্পাদক: এম এ ওয়াহেদ- ০১৮৫৯-৫০৬৬১৪
প্রধান কার্যালয় : নাহার ম্যানশন ৫ম তলা, ১৫০ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা -১০০০।
নিউজ রুম: ০২৪৭১১০৪৫৪, ০১৬৭৭২১৯৮৮০।
e-mail: [email protected], web: 71sangbad.com