শনিবার ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
শিরোনাম: সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল ওপেন গ্রুপ এ       রয়্যাল জর্ডানিয়ান এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু, সায়মন পেল জিএসএ       আইনি প্রক্রিয়ার বাইরেও আছে রাজনৈতিক সমীকরণ       আধিপত্য কায়েম করতে সাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়া তুলছে ভারত : রিজভী       আওয়ামী দূষিত লোকদের প্রশাসন থেকে বিতাড়িত করা সরকারের দায়িত্ব : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান       সরকারকে ব্যর্থ করতে সব ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে : মোশাররফ হোসেন       বিভাগ না দিয়ে হাসিনা কুমিল্লাবাসীকে অপমানিত করেছেন : জামায়াত আমির      
ফ্যাসিস্টদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’ স্লোগানে উত্তাল নূর হোসেন চত্বর
প্রকাশ: রোববার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ১:১২ পিএম |

স্বৈরাচার এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে ১৯৮৭ সালে আজকের এই দিনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন শহীদ নূর হোসেন। দিনটির স্মরণে রাজধানী জিরো পয়েন্টে ‘নূর হোসেন চত্বরে’ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন বিভিন্ন পেশাজীবী, সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

তবে দিনটিকে ঘিরে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতিত আওয়ামী লীগ। ফলের আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতা কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

বিভিন্ন পেশার মানুষ অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে সেখানে। ‘ফ্যাসিস্টদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘খুনি হাসিনার ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ঠিকানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, ‘সাঈদ-ওয়াসিম-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘শহীদ নূর হোসেন লও লও, লও সালাম’- এসব স্লোগানে উত্তাল নূর হোসেন চত্বর।

শহীদ নূর হোসেনের পরিবার, ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতাকর্মীরা, গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ফোরাম, রাষ্ট্রসংস্কার ছাত্র আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাসদ (মার্কসবাদী), গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, রাজনৈতিক দল সকাল থেকে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে শ্রদ্ধা জানাতে আসছে।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার প্রেতাত্মারা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। ১৫ বছর ধরে হাজারও মানুষকে গুম, খুন, হত্যা করেছে এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা।’

তিনি বলেন, ‘শহীদ নূর হোসেন একজন সাধারণ মানুষ। তাকে আজকে আওয়ামী লীগ নিজেদের করে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতা তা হতে দেয়নি। নূর হোসেন সর্বজন স্বীকৃত।’

তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় পার্টি নূর হোসেনের হত্যাকারী, কিন্তু তাদের রাজনীতি এখনো নিষিদ্ধ হয়নি। তাদেরকে রাজনীতিতে জিউয়ে রেখেছ, তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।’


রাশেদ খান বলেন, ‘প্রথমের দিকে জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সন্তোষ ছিল। কিন্তু এখন প্রতিদিন জনগণ তাদের ওপর অসন্তোষ হয়ে পড়ছে। তাই বলছি, অতিদ্রুত নির্বাচন দেন, তা না হলে আমরা ভাবব, আপনার মঈন-ফখরুদ্দিনের মতো দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’

এরপর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দিকে একটি মিছিল নিয়ে যায় গণঅধিকার পরিষদ নেতারা।

এদিকে গুলিস্তানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আওয়ামী লীগের ডাকা সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। সচিবালয় রোডের সামনে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতি রয়েছে। এছাড়া পুলিশের একটি সাঁজোয়া যানও রাখা হয়েছে সেখানে।

এর আগে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগ ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ সবাইকে সমবেত হওয়ার ডাক দিয়ে রোববার বিকেল ৩টায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের নূর হোসেন চত্বরে নেতাকর্মীদের সমবেত হওয়ার নির্দেশনা দেয়। এর পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে ‘স্বৈরাচার’ আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে একইস্থানে গণজমায়েতের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

ফলে গুলিস্থান স্টেডিয়ামমুখী সড়কটি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে যানজট দেখা দিয়েছে।






আরও খবর


সম্পাদক : এ এইচ এম তারেক চৌধুরী, সহ-সম্পাদক: এম এ ওয়াহেদ- ০১৮৫৯-৫০৬৬১৪
প্রধান কার্যালয় : নাহার ম্যানশন ৫ম তলা, ১৫০ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা -১০০০।
নিউজ রুম: ০২৪৭১১০৪৫৪, ০১৬৭৭২১৯৮৮০।
e-mail: [email protected], web: 71sangbad.com