শিরোনাম: |
বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুরের ছবি নামানো উচিত হয়নি : রিজভী
|
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জাতীয় স্বাধীকার আন্দোলনে তো শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান আছে। এটা তো অস্বীকার করা যায় না। আমি মনে করি, শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো উচিত হয়নি। তার বিচার ইতিহাস বিচার করবে, জনগণ বিচার করবে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল-বিএনপির আয়োজনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প উদ্বোধন পূর্বে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে, কারো অন্যায় করলে তাকে পালাতে হয়। অবিচার করলে সে নিজ দেশে থাকতে পারে না। বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের পর খন্দকার মোশতাক বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলেন। কিন্তু ৭ নভেম্বরের পর জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আবার বঙ্গভবনে প্রতিস্থাপন করেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা মাহফুজ সাহেব জানিয়েছেন ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে’, দেখুন, এটা করেছেন ঠিক আছে। ’৭২ পরবর্তী সময়ে শেখ মজিবুর রহমানের সময়ের হত্যা, খুন, লুণ্ঠন ধর্ষণ সবই হয়েছে, এটা সবার জানা। তবে খন্দকার মোশতাক শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেললে, সেটি কিন্তু জিয়াউর রহমান প্রতিস্থাপন করেছেন। জাতীয় স্বাধীকার আন্দোলনে তো তার অবদান আছে। আমি মনে করি, শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো উচিত হয়নি। ইতিহাস বিচার করবে, জনগণ বিচার করবে। আমাদের জাতীয় ইতিহাসের আন্দোলনের তার যে অবদান সেটা তো অস্বীকার করা যায় না। আমরা তো আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণ মনের নই। এজন্য বলছি, শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো উচিত হয়নি।
|