শিরোনাম: |
রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব নির্ধারণ ও ভবিষ্যত উত্তরণের পথ খুঁজতে গবেষণার উদ্যোগ গ্রহণ
|
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় ও অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রভাব নির্ধারণ ও ভবিষ্যত উত্তরণের পথ’ শীর্ষক একটি গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কটের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন, সঙ্কট পর্যালোচনা ও প্রশমনের জন্য কার্যকর উপাত্ত-ভিত্তিক নীতিগুলো নিয়ে কাজ করাই এই গবেষণার মূল লক্ষ্য। আজ বুধবার ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাদের সাথে গবেষণাটির পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক উন্নয় সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন; যেখানে তারা গবেষণার ধারণাপত্রের প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রভাব ও টেকসই সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ সরকারের সাবেক উপসচিব এবং অক্সফ্যামের উপদেষ্টা ড. শরিফুল আলম এই গবেষণার ধারণাপত্রটি উপস্থাপন করেন। এসময় অংশগ্রহণকারীরা রোহিঙ্গা সঙ্কটের তাৎক্ষনিক ও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবগুলো তুলে ধরেন এবং নিজ নিজ জায়গা থেকে সুপারিশ প্রদান করেন। এসব সুপারিশ রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোকে চিহ্নিত করে। দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসন বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মানবিক চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি। গবেষণাটির অন্যতম লক্ষ্য, রোহিঙ্গা সঙ্কটের বর্তমান বাস্তবতা এবং ভবিষ্যত, পরিবেশ, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, সাংস্কৃতিক, প্রশাসনিক ও সার্বিক নিরাপত্তার উপর সঙ্কটের প্রভাব খুঁজে বের করা। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গবেষণাটির নীতি ও তথ্যের বিষয়গুলো উল্লেখ করে বলেন, ‘বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। তবে এই সঙ্কটের দীর্ঘমেয়াদী ও কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করতে গবেষণাভিত্তিক উদ্যোগ প্রয়োজন। এই গবেষণা উদ্যোগের মাধ্যমে, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা সম্প্রদায় এবং কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের পাশে থাকতে নীতি-সুপারিশের লক্ষ্যে কাজ করছি।’ এই আলোচনায় অংশ নিয়ে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান এনডিসি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সঙ্কট আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে শুরু করে জনসেবা পর্যন্ত; সমাজের সকল দিককে প্রভাবিত করছে। এই গবেষণাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের বাস্তবতাগুলোকে তুলে ধরা এবং আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বয় করতে সহযগিতা করবে।’ অনুষ্ঠানে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশীষ দামলে গবেষণাটির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘রোহিঙ্গা সঙ্কট কেবল একটি মানবিক সমস্যা নয়; এটি একটি পরিবেশগত এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ যা কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীদেরকেও প্রভাবিত করছে। গবেষণাটি এসকল বিষয়গুলো তুলে আনবে এবং উভয় সম্প্রদায়ের জন্য একটি অর্থবহ টেকসই সমধানের দিকে আমাদের নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।’ |