শিরোনাম: |
শেরপুরে সাংবাদিক বকুলের অকাল মৃত্যু
শেরপুর প্রতিনিধি
|
মোহনা টিভি’র শেরপুর জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার শ্রীবরদী প্রতিনিধি রেজাউল করিম বকুল (৫৪) মারা গেছেন। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত ১২.১৫ মিনিটের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ্যম্বুলেন্স যোগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নেওয়ার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি অত্যন্ত বিনয়ী, মিষ্টভাষী ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে সহকর্মী, সাংবাদিক সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি শ্রীবরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও শেরপুর প্রেসক্লাবের সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংবাদিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। তৃণমুলের সাংবাদিক হিসেবে জেলাজুড়ে তাঁর ব্যপক পরিচিতি ছিলো। সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বিভিন্ন এলাকার দূর্ভোগ-দুর্দশার চিত্র তাঁর লেখনির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় অসুস্থতা বোধ করে রেজাউল করিম বকুল। পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা তাকে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরে এম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে নকলা উপজেলায় পৌছালে তাঁর মৃত্যু হয়। সেখান থেকে তাঁর লাশ রাতেই বাড়িতে আনা হয়। তার মৃত্যুর খবরে সহকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। বকুলের মরদেহ দেখতে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গনমাধ্যমকর্মীরা রাতেই তাঁর বাড়ি ভিড় জমায়। তাঁর মৃত্যুতে শেরপুর প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ শোক জানিয়েছে। রেজাউল করিম বকুল উপজেলার গেরামারা গ্রামের মৃত মোফাজ্জাল হোসেন ওরফে বাচ্চু ক্বারীর ছেলে। তাঁর নিজ বাড়ি সংলগ্ন গেরামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আজ রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ২.৩০ মিনিটের সময় জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি এক স্ত্রী, ৩ কন্যা সন্তান সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর জানাযার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
|