সোমবার ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ৩০ পৌষ ১৪৩১
শিরোনাম: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুট ঘন কুয়াশায় বন্ধ       কবি এ কে সরকার শাওনের প্রথম উপন্যাস "অতল জলে জলাঞ্জলি" প্রকাশিত       বাংলাদেশে শিল্প কারখানা স্থানান্তরের জন্য তুরস্কের প্রতি আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার       কাতারের আমিরের প্রতি তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ       পুঁজিবাজারের বিগত ১৫ বছরের অনিয়ম অনুসন্ধানে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠনের দাবি       কী হয়েছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে       ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ৩ গাড়িতে আগুন, নিহত ৪      
তীব্র অপুষ্টির ঝুঁকিতে ২০ লাখের বেশি শিশু
প্রকাশ: শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:২৩ এএম |

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, দক্ষিণ সুদানে প্রায় ২০ লাখ শিশু ও ১০ লাখ গর্ভবতী নারী বা স্তন্যদানকারী মা ভয়াবহ অপুষ্টির শিকার। নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যবিধির অভাব এবং রোগের বিস্তার এই সঙ্কটকে আরো বাড়িয়ে তুলছে।

ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনের (আইএফএসপিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাস শুরুর আগেই দক্ষিণ সুদানের এক কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৮০ লাখ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখে পড়বে। ইউনিসেফ বলছে, দেশটি কয়েক দশক ধরে চলা যুদ্ধ ও আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ঘুরপাক খাচ্ছে এবং ২০ লাখের বেশি শিশু ও ১০ লাখের বেশি গর্ভবতী নারী বা স্তন্যদানকারী মাকে অপুষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে বিশ্বকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসা উচিত।

দক্ষিণ সুদানে ইউনিসেফের প্রতিনিধি হামিদা লাসেকো বলেন, ‘জরুরি সহায়তা প্রয়োজন এমন শিশু, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীর সংখ্যা প্রত্যাশা-মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির কারণেই শুধু এমনটা ঘটেনি, বরং অপুষ্টির স্থায়ী সমস্যা বহু গ্রামকে ধরাশায়ী করছে।’

প্রতিবেশী সুদানে দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা আট লাখ শরণার্থী ও ফিরে আসা লোকেরা দক্ষিণ সুদানের খাদ্য নিরাপত্তাকে আরো চাপের মধ্যে ফেলছে এবং ইতোমধ্যে সীমিত হয়ে আসা সম্পদে টান পড়ছে।

জুবার ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বর এলাকায় নিয়ানতুর আদুর রিয়াক নিজের জীবনকে পুনরায় গড়ে তোলার জন্য বাড়ি ফিরে এসেছেন। তিনি পাঁচ সন্তানের মা এবং বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালে সংঘাতের সময় তারা যখন এই এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তখন তার শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগছিল।
রিয়াকের আশা, তার অনাগত সন্তান একটা সুস্থ ভবিষ্যৎ পাবে। তার পাকা বাঁশে ঘেরা বাড়িতে রয়েছে ছোট্ট একটা বাগান। এটাই আশার আলো দেখাচ্ছে তাকে।

রিয়াক বলছেন, ‘রাইট টু গ্রো’ প্রকল্পের হাত ধরে তার সন্তানরা এখন আর অপুষ্টিতে ভুগছে না।

আনিয়েত আনায়াং ডেং আরেকজন মা। তার মতে, নিরাপত্তাহীনতা ও বন্যা বেঁচে থাকাকেই দৈনিক লড়াইয়ে পরিণত করেছে।
বরের কাউন্টি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জেকব আজাক অপুষ্টির প্রভাব প্রত্যক্ষভাবে দেখছেন। ‘জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্যের অভাব একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যদি আজ একটি শিশুকে ভর্তি করি ও তার চিকিৎসা করি তাহলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু যখন তারা বাড়িতে ফিরে যাবে, সেখানে কোনো খাবার নেই।’

তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে, কিন্তু ওষুধের অভাব। যেটুকু তারা পায় সেটুকু আসে ইউনিসেফের মতো অংশীদারদের কাছ থেকে।

আজাক বলেন, একটি শিশু যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তার পরিবারের পক্ষে বেসরকারি ক্লিনিকের ব্যয় বহন করার মতো সামর্থ্য থাকে না।

‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ নামের সংস্থাটি অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করতে বহু কেন্দ্র তৈরি করছে, তবে ইউনিসেফ বলছে, অপুষ্টি রুখতে ও এর মোকাবেলা করতে আরও উদ্যোগ প্রয়োজন।






আরও খবর


সম্পাদক : এ এইচ এম তারেক চৌধুরী, সহ-সম্পাদক: এম এ ওয়াহেদ- ০১৮৫৯-৫০৬৬১৪
প্রধান কার্যালয় : নাহার ম্যানশন ৫ম তলা, ১৫০ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা -১০০০।
নিউজ রুম: ০২৪৭১১০৪৫৪, ০১৬৭৭২১৯৮৮০।
e-mail: [email protected], web: 71sangbad.com