শিরোনাম: |
বাধ্যতামূলক সামরিক ট্রেনিং জন্য প্রধান উপদেষ্টা এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছেন গ্রীন ইনোভেশন ভলেন্টিয়ার্স আহ্বায়ক জবি মোঃ মহিউদ্দিন বন্ধু ।
|
দেশের যুবসমাজকে টোটাল ফিটনেস এবং দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন গ্রিন ইনোভেশন ভলেন্টিয়ার্সের আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মো. মহিউদ্দিন বন্ধু। গতকাল মাননীয় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে লিখিতভাবে এ প্রস্তাব জমা দেন তিনি এবং প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় জমা সহ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে এটি প্রেরণ করেন। প্রস্তাবনার মূল বিষয়বস্তু: ১. এসএসসি/দাখিল পরীক্ষা শেষে তিন মাসের সামরিক ও টোটাল ফিটনেস ট্রেনিং ক্যাম্পে অংশগ্রহণ। ২. বিএনসিসি (BNCC)-এর নিয়মিত কার্যক্রম বৃদ্ধি। ৩.বিএনসিসি (BNCC) মাধ্যমে ৩০ বছরের মধ্যে কমপক্ষে একবার সামরিক ও টোটাল ফিটনেস ট্রেনিং সম্পন্ন করা।(কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় থাকবে/রাষ্ট্রদ্রোহী ব্যক্তি সুযোগ পাবে না) ৪. নির্বাচনে মনোনয়নপত্র নেওয়ার আগে, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের আগে এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ/পদোন্নতির ক্ষেত্রে সামরিক ও টোটাল ফিটনেস ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করা বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। (পদোন্নতির ক্ষেত্রে বা অন্যান্য বিশেষ পরিস্থিতিতে সময় সংক্ষিপ্ত করা যেতে পারে।) ৪. সশস্ত্রী বাহিনী বিভাগ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইটি ও প্রযুক্তি এক্সপার্টদেরকে সংগ্রহ করে বিশেষ টিম গঠন করা। সশস্ত্র বাহিনী এবং দেশের সরকারি আইটি সেক্টর/পদ গুলোকে উক্ত আইডি এক্সপার্ট প্রেরণ করা। ৫. প্রতি থানায়/ ইউনিয়ন একটি করে রাষ্ট্রসেবা যোদ্ধা প্লাটুন পঠন ।তিন মাস সময়ের সম্ভব। (অবসরপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য, BNCC ক্যাডেট, অন্যান্যদের নিয়ে)। শান্তি ,শৃংখলা , রাষ্ট্রের স্বার্থে কাজ করবে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কর্তৃক নিকটবর্তী ক্যান্টনমেন্ট কর্তৃক রাষ্ট্রসেবা যোদ্ধা প্লাটুন পরিচালনা এবং সহযোগিতা করবে। বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের BNCC রাষ্ট্রসেবা যোদ্ধা প্লাটুন হিসেবে কাজ করবে। নির্ধারিত পদ্ধতি: এই প্রোগ্রামের জন্য নির্দিষ্ট অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আবেদনের মাধ্যমে সুবিধাজনক সময়ে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা যাবে। প্রোগ্রামের কাঠামো: ১. সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক আয়োজিত বিশেষ প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। ২. টোটাল ফিটনেস । ৩. দেশপ্রেম ও সৃষ্টির সেবার অনুশীলন। ৪. শুদ্ধাচার, সততা, সময়ানুবর্তিতা, ইতিবাচকতা ও শৃঙ্খলা। ৫. মাইন্ডফুলনেস এবং হ্যাপিনেস কারিকুলাম। ৬. সৃজনশীলতা, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা। ৭. নিরহংকার আচরণ এবং ভালো চিন্তা, বলা, করা ও থাকা। বিশেষ কার্যক্রম: প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের নির্ধারিত কাজের মাধ্যমে দক্ষতা মূল্যায়ন করা ।দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভূমিকা রাখার জন্য সীমান্ত পাহারা ,এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করানো, গাছ লাগানো গাছের যত্ন নেওয়া ইত্যাদি সংযুক্ত করা যেতে পারে। প্রশিক্ষণের প্রত্যেককে একটি বিশেষ পেশা বা দক্ষতায় উন্নত করা হবে।প্রশিক্ষণের সময়সীমা কমপক্ষে এক মাস হতে হবে। সকল প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের ওপর নজরদারি ও মূল্যায়ন নিশ্চিত । সামরিক এবং টোটাল ফিটনেস ট্রেনিং প্রদান করবে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক বিভাগ আইটি , টেকনোলজি স্পেশাল টিম(অংশগ্রহণকারী অনলাইনে চয়েস দিবে)। প্রশিক্ষণকালে যারা ভালো করবে তাদেরকে ওখান থেকে সরাসরি সশস্ত্রী বাহিনীতে নিয়োগের একটা সিস্টেম করা যেতে পারে। মহিউদ্দিন বন্ধুর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: গ্রিন ইনোভেশন ভলেন্টিয়ার্স সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বন্ধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। পরিবেশ ও জলবায়ু, সমাজ সেবা, বিশ্ব শান্তি ও রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে তাঁর কাজের প্রচেষ্টা চলমান।এছাড়া করোনা ভাইরাস মহামারী সময়েও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সঙ্গে দাফন সেবা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। সে প্রায় সময় স্কুল-কলেজ, লোকাল জনগোষ্ঠী নিয়ে জনসচেতনতা সেমিনার করে।সে রাস্তার প্রান্তে ঘুরে সমস্যাগুলো নোট করে কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করে। অসহায় শিশু প্রবীণ প্রতিবন্ধীদের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা। বাংলাদেশ নয় মাসে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বাস্তবায়নের প্রজেক্ট উপস্থাপন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান ,সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সুন্দর্যবর্ধন ,নিজ উপজেলায় চৌকি আদালত, পৌরসভা উন্নতিকরণ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে র্যাব ক্যাম্প উদ্যোগ নেয় এই বিস্ময়কর উদ্যোক্তা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ভিক্ষুকমুক্ত আলীকদম ভিক্ষুক মুক্ত বাংলাদেশ কিছুটা কার্যক্রম হাতে নিয়েছিল।দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল থেকে এসেই মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুন্দর বাংলাদেশে গঠনে পরিকল্পনা তুলে ধরেছিল। সে স্বপ্ন দেখছে বিশ্ব মানবিক মহাসমাজ, আগামীর বাংলাদেশ ,মানবিক মহাসমাজ গঠনে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবে বাংলাদেশ।বিশ্বের বিস্ময় ,বিশ্ব দেখবে বাংলাদেশ।তিনি নেদারল্যান্ড কিংস ফাউন্ডেশন কর্তৃক আন্তর্জাতিক শিশু পুরস্কার ২০১৯ এর সম্মাননা সনদ অর্জন করেন।মহিউদ্দিন বন্ধুর প্রস্তাবনা শুধু প্রশংসনীয় নয়; এটি একটি কার্যকর উদ্যোগ হতে পারে যা দেশের যুবসমাজকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এ প্রস্তাবনার বাস্তবায়ন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। স্বর্গভূমি বাংলাদেশ শান্তিময় বিশ্ব গঠনে কাজ করতে চাই মহিউদ্দিন।সে নিজ এলাকা এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একজন সার্বজনীন সমাজসেবক সদাচারী এবং ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত।
|