শিরোনাম: |
পদত্যাগ করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী
|
রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখে দেশের নাগরিকের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল এবং নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে সৌদি আরবে দেশটির রাষ্ট্রদূত চোই বাইউং-হিউককে মনোনীত করেছেন তিনি। দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বৃহস্পতিবার সাবেক সেনা জেনারেল চোই-এর মনোনয়ন নিশ্চিত করেছে। ইয়োনহাপ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিম ইয়ং-হিউন রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওলের কাছে প্রস্তাব করেছিলেন যে তিনি মঙ্গলবার রাতে সামরিক আইন ঘোষণা করবেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদ ইউনকে তার সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ভোট দেয়ার পরে দ্রুত তুলে নেয়া হয় সামরিক আইন। বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিউন নাগরিকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন যে তিনি তার পদত্যাগপত্র প্রেসিডেন্টের কাছে জমা দিয়েছেন। সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে অভিশংসনের দাবি জানিয়েছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। সামরিক আইন জারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট সদস্যসহ সাধারণ জনগণ। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণকালে প্রেসিডেন্ট আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন। অবশ্য পরে পার্লামেন্ট সদস্যদের বিরোধিতা ও দেশটির সাধারণ জনগণের বিক্ষোভের মুখে সেটি প্রত্যাহারের কথা জানান। তবে এ নিয়ে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা জানিয়েছে, তারা বুধবার ইউনের বিরুদ্ধে অভিশংসনের জন্য একটি বিল প্রস্তাব করার পরিকল্পনা করছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই বিলের ভোট হবে। বিরোধী দলের একজন সংসদ সদস্য জানিয়েছেন, প্রস্তাবের ওপর ভোট হলে আমরা জয়ী হবো। কারণ, সংসদে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। |