শিরোনাম: |
স্যারের জন্মদিন জ্ঞানের আলোর এক প্রদীপ
|
![]() আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি, এক বিশেষ দিন। এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এক আলোকিত মানুষ, যিনি শিক্ষক, লেখক, কবি এবং মানবতার এক অক্লান্ত সৈনিক—তৌফিক সুলতান স্যার। তাঁর জীবন, কর্ম এবং অবদান আমাদের সমাজ ও সাহিত্য জগতের জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এই নিবন্ধে আমরা জানবো তাঁর জীবনপ্রবাহ, সৃষ্টিশীলতা, সমাজসেবা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে। জন্ম ও শৈশব লেখক তৌফিক সুলতান স্যার ১৯৯৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্যারের বাবা আব্দুল করিম এবং মা ফাতেমা বেগম। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও কৌতূহলী। শিক্ষার প্রতি তাঁর আগ্রহ এবং জ্ঞানের প্রতি অনুসন্ধিৎসু মনোভাব তাঁকে ভিন্ন এক উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক বর্তমানে তিনি ভাওয়াল ইসলামিক ক্যাডেট একাডেমির সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর শিক্ষাদান পদ্ধতি শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তিনি শিক্ষার্থীদের জীবনের মূল্যবান পাঠও শেখান। তিনি বিশ্বাস করেন, সত্যিকারের শিক্ষা হলো এমন এক পথ, যা একজন মানুষকে কেবল পেশাগত দক্ষতাই নয়, বরং নৈতিক ও মানবিক গুণাবলীতেও সমৃদ্ধ করে। তাঁর শিক্ষাপদ্ধতি অনুপ্রেরণাদায়ক এবং ব্যতিক্রমী। তিনি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বাড়ানোর জন্য নিয়মিতভাবে পুরস্কার ও উপহার প্রদান করেন। এ ছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য তাদের উৎসাহিত করেন। সাহিত্য ও লেখালেখি তৌফিক সুলতান স্যার শুধু একজন শিক্ষক নন, তিনি একজন স্বনামধন্য লেখকও। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ "হৃদয় থেকে রচিত" পাঠকদের হৃদয়ে গভীর দাগ কেটেছে। তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় প্রতিবেদন, নিবন্ধ, মতামত, গল্প, ফিচার ও কলাম লিখে থাকেন। তাঁর লেখার মূল উপজীব্য হলো মানবতা, ন্যায়বিচার, শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়ন। তাঁর লেখনীতে ফুটে ওঠে জীবনবোধ, গভীর উপলব্ধি এবং অন্তরের অনুভূতি। তাঁর কবিতা ও গল্পে যেমন পাওয়া যায় সমাজের দর্পণ, তেমনি পাওয়া যায় নিখাদ প্রেম, মানবতা ও দেশপ্রেমের স্পন্দন। সমাজসেবায় তাঁর ভূমিকা লেখক তৌফিক সুলতান স্যার শুধুমাত্র শিক্ষা ও সাহিত্য জগতে সীমাবদ্ধ নন, তিনি এক নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবকও। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন "ওয়েলফশন মানবকল্যাণ সংঘ" ও "আল তৌফিকী পরিবার", যার মাধ্যমে তিনি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর সংগঠনগুলো সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, যেমন— দুঃস্থ ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান অসহায় মানুষের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম নৈতিক শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারের উদ্যোগ তরুণ প্রজন্মকে সৃজনশীল ও মানবিক করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা তাঁর এসব সমাজসেবামূলক কাজ আমাদের অনুপ্রেরণা দেয় এবং আমাদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও জীবনদর্শন লেখক তৌফিক সুলতান স্যার অত্যন্ত বিনয়ী, পরোপকারী ও নীতিবান একজন মানুষ। তিনি সবসময় সততার সঙ্গে জীবনযাপন করেন এবং অন্যদেরও সঠিক পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, “মানুষের কল্যাণে কাজ করাই জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য। তাঁর জীবনদর্শন থেকে আমরা শিখতে পারি ১. সততা ও অধ্যবসায়: নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে কাজ করে গেলে সফলতা আসবেই। 2. শিক্ষা ও জ্ঞানার্জন: প্রকৃত শিক্ষা শুধু ডিগ্রি নয়, বরং একজন মানুষকে আদর্শবান করে গড়ে তোলা। 3. মানবসেবা: সমাজকে উন্নত করতে হলে নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। তাঁর জন্মদিন উদযাপনের এক মহৎ উপলক্ষ্য লেখক তৌফিক সুলতান স্যারের জন্মদিন শুধুমাত্র তাঁর ব্যক্তিগত উদযাপন নয়, বরং এটি তাঁর শিক্ষার্থীদের, পাঠকদের এবং শুভানুধ্যায়ীদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার দিন। এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, একজন মানুষ কীভাবে শিক্ষা, সাহিত্য ও সমাজসেবার মাধ্যমে নিজেকে মানুষের কল্যাণে নিবেদিত করতে পারেন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি আমরা শুধু তাঁর জন্মদিন উদযাপন করব না, বরং তাঁর আদর্শ ও শিক্ষা থেকে নতুন কিছু শিখব এবং নিজেদের জীবনে তা প্রয়োগ করার চেষ্টা করব। লেখক, কবি ও শিক্ষক তৌফিক সুলতান স্যার একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, সাহিত্যের মাধ্যমে আমাদের চিন্তার জগতকে প্রসারিত করেছেন এবং সমাজসেবার মাধ্যমে আমাদের নৈতিকতার পাঠ পড়িয়েছেন। এই বিশেষ দিনে আমরা তাঁর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং আরও সাফল্যের জন্য শুভকামনা জানাই। তাঁর পথচলা হোক আরও সমৃদ্ধ, আরও গৌরবময়। শুভ জন্মদিন, তৌফিক সুলতান স্যার!
|