শিরোনাম: |
ইষ্টার্ণ ইন্সুরেন্স কোঃ লিঃ —এর চেয়ারম্যান এবং কোম্পানি সেক্রেটারী স্বেচ্ছাচারিতায় ইষ্টার্ণ ইন্সুরেন্স কোঃ লিঃ ধ্বংসের পথে
|
ইষ্টার্ণ ইন্সুরেন্স কোঃ লিঃ —এর চেয়ারম্যান এ এস এম ওয়াহিদুজ্জামান এবং কোম্পানি সেক্রেটারী কাজী ফারহানা্র স্বেচ্ছাচারিতায় ইষ্টার্ণ ইন্সুরেন্স কোঃ লিঃ ধ্বংসের পথে। ![]() ১। অবৈধভাবে বেতন-ভাতা গ্রহণ। প্রতিমাসে অবৈধভাবে ০২ (দুই) লাখের ও বেশি অঙ্কের বেতন নিচ্ছেন, যা প্রিমিয়ার ব্যাংক, দিল্কুশা শাখার মাধ্যমে তার নিজস্ব একাউন্ট এ জমা হয়। নিয়মানুযায়ী তিনি শুধুমাত্র মিটিং ফী বাবদ ৮০০০.০০ টাকা গ্রহণ করতে পারেন। এ এস এম ওয়াহিদুজ্জামান কোম্পানির একজন এবং আওয়ামীপন্থী সাবেক আমলা। ২। নিয়ম বহির্ভূতভাবে ২ টি গাড়ী জবরদখল করে রেখেছে। গাড়ী দুটির নাম্বার যথাক্রমে ৪৫-১০০০৬, -৪৩-৫৯১৬ তার মধ্যে একটি কর্মকর্তা =কর্মচারীদের আনা নেওয়া হত। সেটি ও দখলে রেখেছেন। যার জন্য প্রতিমাসে ২ জন ড্রাইভার বাবদ একটি বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ৩। অপ্রয়োজনীয় বোর্ড এবং কমিটি মিটিং ডেকে মিটিং ফি গ্রহণ। ৪। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দালালদের (বি সি এস ক্যাডার) জোটবদ্ধ করণে এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের জন্য কোম্পানির অফিস ব্যাবহার করে বিভিন্ন ধরণের সভা সেমিনার করে আসছে। কাউকে আওয়ামী বিরোধী মনে হলেই তাকে চাকুরীচুত করা হয়। ৫। অবৈধভাবে কোম্পানির ফান্ড থেকে অর্থ নিয়ে তার এলাকায় বিভিন্ন আওয়ামী অনুষ্ঠানে এবং প্রতিষ্ঠানে চাঁদা প্রদান করে আসছে। ৬। সার্ভিস রুলের তোয়াক্কা না করে নিজের পছন্দের লোকদের কে একই বছরে একই লোককে একাধিক পদোন্নতি এবং জুনিয়র পদবির লোককে একাধিক পদোন্নতি দিয়ে নিয়োগ প্রদান। ৭। নিজের ভাগ্নেকে প্রিন্সিপাল অফিস এ ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে না করেও বেতন দিয়েছেন। ৮। অপরদিকে চেয়ারম্যানের নীতি নৈতিকতা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। নিজের পি,এস হিসেবে একজন মেয়েকে নিয়োগ দিতে চেয়েছিল কিন্তু বোর্ড এর অনুমতি না পাওয়ায় সম্প্রতি অল্প বয়সী একজন মেয়েকে এডমিন ইন্টারনী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে এবং তাকে সামনে বসিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করতে দেখা যায়। যা দেখে অফিস পিওন থেকে শুরু করে সর্বস্তরের কর্ম- কর্তা, কর্মচারীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ৯। মুলতঃ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান তারেক কে কাঠের পুতুল করে রাখা হয়েছে। সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার তা চেয়ারম্যান তার অতি প্রিয় এবং বিশ্বস্ত কাজী ফারহানা কে নিয়ে নেন এবং বর্তমান সিইও তাতে স্বাক্ষর প্রদান করেন। ৯। সর্বোপরি তার এই সব দূর্নীতির বিরোধিতা করায় কোম্পানির অত্যন্ত ভদ্র এবং ন্যায়পরায়ন সিএফও জনাব সুজয় কুমার বিশ্বাস এফ সি এ কে অতি সম্প্রতি জোর করে ৎবংরমহ দিতে বাধ্য করেছে। অপরদিকে চেয়ারম্যানের সকল অপকর্মের সহযোগী এইচ আর হেড এবং কোম্পানী সেক্রেটারী কাজী ফারহানা ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অনেক সুযোগ—সুবিধা গ্রহণ করছে এবং বিভিন্ন রকমের অনিয়ম করে আসছে, ১। তার পদবী (সি। ম্যানেজার) অনুযায়ী বেসিক ১৫০০০.০০ হওয়া সত্ত্বেও নিয়মবহির্ভূতভাবে ২৭০০০.০০ টাকা করেছেন। ২। যোগদানের ০৬ (ছয়) মাসের মধ্যেই বাৎসরিক ইনক্রিমে্ট নিয়েছেন, অথচ সার্ভিস রুলস অনুযায়ী এর জন্য ০১(এক) বছর পূর্ণ হওয়া আবশ্যক । ৩। অবৈধভাবে বোর্ড ফী গ্রহণ করেছেন। ৪। কোম্পানীর সার্ভিস রুলস অনুযায়ী ভিপি পোস্ট পর্যন্ত কোম্পানীর গাড়ী সুবিধা পেতে পারে, কিন্তু কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ে একাধিক ভিপি পোস্টধারী থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে কোন ধরণের গাড়ী সুবিধা না দিয়ে তিনি সি। ম্যানেজার পোস্টধারী হয়েও ব্যক্তিগতভাবে গাড়ী গ্রহণ করেছেন। ৫। সার্ভিস রুলস অমান্য করে তার আজ্ঞাবহ হওয়ায় একাধিক কর্ম-কর্তা ,কর্মচারীকে একই সেশনে এ একাধিক প্রমোশন প্রদান করেছেন। ৬। কোন ধরণের পুর্ব নোটিশ ব্যতীত তাৎক্ষনিকভাবে চাকুরিচ্যুত করণ । ইমন উদ্দিন নামে একজন অফিস সহকারী, যিনি জুলাই’২৪ বিপ্লব আন্দোলনে যোগদানের কারণে অফিসে আসতে পারেননি , যার কারণে তাকে কোন ধরণের নোটিশ প্রদান না করেই চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। মাযহারুল ইসলাম নামে একজন আইটি কর্ম=কর্তাকে অনিয়তান্ত্রিকভাবে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। ৭। কোম্পানীর দীর্ঘ দিনের কতিপয় স্থায়ী কর্ম কর্তাকে বিনা দোষে চাকুরিচ্যুত করেছেন। যারা এখন মানবেতর জীবন— যাপন করেছেন।তাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্যরা হলেন,১। শিল্পী রানী (একাউন্স), ২। রুবেল (আন্ডাররাইটিং), ৩। আলিমুর রাযিম (এডমিন), ৪। সোহেল মাহমুদ (শেয়ার), ৫। রিয়াজ (আন্ডাররাইটিং)। ৮। সার্ভিস রুলস অমান্য করে নিজস্ব অযোগ্য লোকদেরকে একাধিক প্রমোশন দিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন। আর এই সকল অনিয়ম এবং বিধি বহির্ভূত কাজ করার সাহস জুগিয়েছেন চেয়ারম্যান এ এস এম ওয়াহীদুজ্জামান। ৯. কোম্পানীটির আয়ের চেয়ে ব্যয় দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং ভ্যাট ফাঁকি সহ নানা ধরনের অনিয়ম করে চলেছে যে গুলোর রিপোর্ট ধারাবাহিকভাবে করা হবে সুতরাং চেয়ারম্যান এ এস এম ওয়াহীদুজ্জামান এবং কোম্পানি সেক্রেটারী কাজী ফারহানা্র এর এই সকল অনিয়ম দূর্নীতি বন্ধ করে ইষ্টার্ণ ইন্সুরেন্স কে রক্ষা করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
|