শিরোনাম: |
ফেরত আনতে হবে দেশের পাচারকৃত অর্থ : মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান
|
![]() আজ মঙ্গলবার বিকেলে উল্লাপাড়া উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে মনোহারা দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গনে প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘শেখ হাসিনার মূল অ্যাজেন্ডাই ছিল বাংলাদেশকে ভারতের তাবেদার রাষ্ট্র বানানো। তার এই কাজের প্রধান বাধা মনে করেছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে। এ কারণেই বিচারের নামে মিথ্যা প্রহসন করে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে। ছাত্র-জনতার এই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সমস্ত ষড়যন্ত্র ধূলিসাৎ হয়েছে। সারাদেশে এখন এক আওয়াজ সব দল দেখা শেষ জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘জামায়াতের মূল লক্ষ্য এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে একটি আধুনিক, মানবিক, দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইনসাফের বাংলাদেশ, ইসলামের বাংলাদেশ। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম বলেন, পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির জিকির তুলে জাতিকে বিভক্ত করেছে। গণজাগরণ মঞ্চের অ্যাজেন্ডাই ছিল এদেশের নিরপরাধ মানুষকে রাজাকার বানানো। এই পতিত স্বৈরাচার সরকার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ৯ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিলকেও রাজাকার বলেছিল। সবশেষে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা এদেশের বৈষম্যবিরোধী মেধাবী শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলেছে। এটাই হলো আওয়ামী লীগের চরিত্র। দূর্গানগর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আশরাফুল আলম মোত্তালিবের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক শাহজাহান আলি, সেক্রেটারি খাইরুল ইসলাম মাষ্টার, অফিস সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল বারী প্রমুখ।
|