শিরোনাম: |
এক বছর পর যুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া শিশুকে খুঁজে পেলেন ফিলিস্তিনি বাবা
|
![]() জাবাল জানান, তিনি যখন ওই স্কুলে তার পরিবারের খোঁজ নিতে যান, তখন জানতে পারেন তার স্ত্রী নিহত হয়েছেন। আর তিনি মোহাম্মদকে কোথাও খুঁজে পানননি। জাবাল বলেন, ‘আমি জানতাম না সে বেঁচে আছে নাকি শহিদ হয়েছে। এক বছর পর, আবু জাবাল একটি টিভি সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদকে দেখে চিনতে পারেন। সেখানে তিনি তার ছেলেকে এক ব্যক্তির কোলে দেখেন। পরে তিনি জানতে পারেন, ওই ব্যক্তিই তার ছেলের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। মোহাম্মদকে খুঁজে পাওয়া ওই ব্যক্তি রাসিম নাভান আলজাজিরাকে বলেন, ‘আমরা যে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলাম সেখানে বোমা হামলা চালায় ইসরাইলি সেনাবহিনী। এতে বহু মানুষ হতাহত হন। তাই আমি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে স্কুলটি ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। আমি যখন স্কুল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম তখন একটি বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পাই এবং সেখানে ছুটে যাই। রাসিম নাভানের স্ত্রী ফাওয়াকেহ নাভান বলেন, ‘আমি হাঁটতে হাঁটতে আমার স্বামীকে দেখে অবাক হই। আমি তার কোলে একটি ছোট শিশুকে দেখতে পাই। আমি জানতাম না সে কার সন্তান। পরে আমার স্বামী জানান, তিনি বাচ্চাটিকে একটি ক্লাসরুমে মৃতদেহের চারপাশে তার মায়ের জন্য কান্না করতে দেখেন। সেখান থেকে রাসিম তার পরিবার নিয়ে দক্ষিণ গাজায় পালিয়ে যান। এরপর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গত ২৯ জানুয়ারি উত্তর গাজায় ফিরে আসে তারা। এরপরই মোহাম্মদের সন্ধান পান তার বাবা তারিক আবু জাবাল। তিনি জানান, মোহাম্মদকে পুনরায় খুঁজে পেয়ে তিনি নতুন করে বাঁচার শক্তি পেয়েছেন।
|