সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ ৩ চৈত্র ১৪৩১
শিরোনাম: প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট, 'ওআইসি প্রতিনিধিদের সহায়তা চাইল ইসি''      পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গঠন করা যাবে না: ''প্রধান উপদেষ্টা''      ইয়াং জেনারেশন অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে - মির্জা ফখরুল      ২০১৪ সালে আ.লীগ ও বিএনপি-জামায়াতের কী সমঝোতা হয়েছিল জানালেন সাবেক ''সেনাপ্রধান''      পত্রিকার পাতা খুললেই হতাশ হন মির্জা ''ফখরুল''      পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক ''আজ''      পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসবেন ''প্রধান উপদেষ্টা''      
অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষে ইউক্রেন - দ্বিতীয় ভারত
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ১১:২৩ এএম |

বিশ্বে মারণাস্ত্র কেনাবেচার পরিমাণ একই আছে, কেবল যারা সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কিনছে তাদের নামবদল হয়েছে। 

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট(সিপরি)-এর রিপোর্ট একঝলক দেখলে অবাক লাগতে পারে। বিশ্বে অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ ২০১০ থেকে ২০১৯-এর তুলনায় মোটের ওপর একই আছে। কিন্তু একটু ভালো করে দেখলেই বোঝা যাবে, বিশ্বের ভূরাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রভাব ক্রেতাদের ওপর ভয়ংকরভাবে পড়েছে।

২০২০ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে ইউক্রেন সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করেছে। তারা অস্ত্র আমদানির পরিমাণ অনেকগুণ বাড়িয়েছে। তারাই এখন অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে এক নম্বরে আছে। ২০২০ থেকে ২০২৪ পন্ত সারা বিশ্ব জুড়ে যে অস্ত্র রপ্তানি হয়েছে, তার নয় শতাংশ হয়েছে ইউক্রেনে। 

ইউক্রেন অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে এক নম্বরে এবং দুই নম্বরে আছে ভারত। তবে ভারত অস্ত্র কেনার পরিমাণ কমিয়েছে।

রাশিয়ার আগ্রাসন ও মার্কিন আশংকা

এই একই সময়ে ইউরোপের দেশগুলোতে অস্ত্র কেনার পরিমাণ বেড়েছে ১৫%। এটাও ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের সরাসরি প্রভাব। 

সিপরির রিপোর্ট বলছে, মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে অনিশ্চয়তার ফলেও অস্ত্র কেনাবেচার পরিমাণ বেড়ে গেছে।

এই রিপোর্টের একজন লেখক ম্যাথু জর্জ বলেছেন, রাশিয়া আক্রমণ করতে পারে, এই ভয় থেকেই ইউরোপ বেশি করে অস্ত্র কিনছে। এর আগে যারা সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করতো সেই সৌদি আরব, ভারত, চীন ওই সময়ের মধ্যে অস্ত্র কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে।

রিপোর্ট বলছে, ৩৫টি দেশ ২০২০ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়েছে। তার মধ্যে ৪৫% অস্ত্র গেছে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে। জার্মানি ১২% ও পোল্যান্ড ১১% অস্ত্র দিয়েছে।

এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যদি ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়, তাহলে ইউক্রেনের কতটা সমস্যা হবে। ২০২০ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে ইউক্রেনই হলো অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে প্রথম ১০-এ থাকা একমাত্র ইউরোপের দেশ। ইউরোপের অনেক দেশ অস্ত্র আমদানির পরিমাণ বাড়ালেও প্রথম ১০-এ নেই।

সিপরি আর্মস ট্রান্সফার প্রোগ্রামের সিনিয়র গবেষক পিটার ওয়েজম্যান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। ইউরোপের দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঁচশটি যুদ্ধবিমান ও অন্য অস্ত্র কেনার বরাত দিয়ে রেখেছে।

যুক্তরাষ্ট্র এক নম্বরে

বিশ্বে অস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এক নম্বরে। ২০২০ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে তারা ১০৭টি দেশকে অস্ত্র দিয়েছে। মোট অস্ত্র রপ্তানির ৪৩% যুক্তরাষ্ট্র থেকে হয়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফ্রান্সের তুলনায় তাদের অস্ত্র রপ্তানির পরিমাণ চারগুণেরও বেশি বলে ম্যাথিউ জর্জ জানিয়েছেন।

২০১৫ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে রাশিয়ার অস্ত্র রপ্তানির পরিমাণ ৬৩% কমেছে। ২০২১ ও ২০২২ সালে তারা গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম অস্ত্র বিক্রি করেছে।

ওয়েজম্যান বলেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে রাশিয়ার অস্ত্র রপ্তানি অনেকটাই কমে গেছে। নিষেধাজ্ঞার ফলে তারা অন্য দেশে অস্ত্র বিক্রি করতেও পারছে না। যদি কোনো দেশের সঙ্গে তারা অস্ত্র কেনাবেচা করতে পারে, তাহলে সেটা হলো চীন ও ভারত।






আরও খবর


সম্পাদক : এ এইচ এম তারেক চৌধুরী, সহ-সম্পাদক: এম এ ওয়াহেদ- ০১৮৫৯-৫০৬৬১৪
প্রধান কার্যালয় : নাহার ম্যানশন ৫ম তলা, ১৫০ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা -১০০০।
নিউজ রুম: ০২৪৭১১০৪৫৪, ০১৬৭৭২১৯৮৮০।
e-mail: [email protected], web: 71sangbad.com