শিরোনাম: |
ববির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের ''তালা''
|
![]() বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের পুনর্বাসন, শিক্ষার্থীদের ২২ দাবি বাস্তবায়ন না করা ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ায় তার অপসারণ দাবি করেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত ছয় মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সমস্যা নিয়ে উপাচার্যের কাছে ২২ দফা দাবি দিয়েছিলাম। কিন্তু তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। জুলাই আন্দোলনে হামলাকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম শাহরিয়ার শানকে ছাত্রলীগ দরজা ভেঙে নিয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় ববি প্রশাসন কোনো মামলা করেনি। অথচ, যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে মামলা করেছেন বর্তমান উপাচার্য। তিনি ফ্যাসিস্টের দোসরদের পুনর্বাসন করছেন। আন্দোলনরত ববি শিক্ষার্থী আবদুর রহমান বলেন, ‘ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হক জিমি উপাচার্যের কাছে সহায়তার আবেদন করেও তা পায়নি। মাসের মাস সময় আবেদনের কপি দপ্তরে পড়ে থাকলে স্বাক্ষর করেননি উপাচার্য। অবশেষে সহায়তা না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে জিমি। আমরা তার সহপাঠী হয়েও কিছুই করতে পারলাম না। এমন অমানবিক উপাচার্য আমরা চাই না। শিক্ষার্থী আশিক আহমেদ বলেন, ‘স্বৈরাচারের দোসর দুর্নীতিবাজ অদক্ষ এ উপাচার্য দায়িত্ব পালনের অধিকার হারিয়েছেন। তাই তিনি দ্রুত পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে চলে যাবেন। তা না করলে কঠোর কর্মসূচি দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। বিভিন্ন দাবিতে গত ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলমান আন্দোলনের গত রোববার উপাচার্যের অপসারণে এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। ওই সময় অপসারণ না করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল শাটডাউন করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এ আন্দোলনে ববির সকল সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সংহতি প্রকাশ করেছে।
|